মানুষের মুখের ভাষায় তাদের নৃ-তাত্ত্বিক সহ সার্বিক পরিচয় নিহিত। কোন এলাকায় লোকদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবন ধারার সংঙ্গে পরিচিতির জন্য যেমন দরকার তেমনি বাহুবলের লোকদেরও দরকার বাহুবলের ভাষা পরিচিতি গ্রন্থ। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, বাহুবলের ভাষা পরিচিতির গ্রন্থ নেই।
বাংলা ভাষায় একক বৈশিষ্ঠের কারনে বৃহত্তর সিলেট জেলার ভাষা সিলেটী ভাশারুপে গবেষক ও ভাষা বিঞ্জানীদের সম্মান ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। আকর্ষন ও অপূর্বতার কারনে সিলেটী ভাষা পৃথক পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করেছে। সিলেটী ভাষার সাথে বাহুবলের ভাষার মিল নেই বলেই চলে। তবে হবিগঞ্জ জেলার ভাষার সাথে বাহুবলের ভাষার অধিকাংশই মিল আছে। বাহুবলের ভাষায় হবিগঞ্জের ভাষায় বৈশিষ্ট্য প্রায় শত ভাগ পক্ষান্তরে সিলেটী ভাষার বৈশিষ্ট্য প্রায় পনের ভাগ।
বাহুবলের সংস্কৃতি অধিকাংশই হবিগঞ্জ জেলার সংস্কৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রত। এখানে ধর্মীয় সংস্কৃতি প্রাধান্য সুস্পষ্ট। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংস্তৃতি বিদ্যমান এছাড়া চা শ্রমিকদেরও একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। চন্দ্রছড়ির মেলা, মুগকান্দির মেলা প্রতি বছরই জমে উঠে জম-জমাট ভাবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS